সুঠাম দেহের অধিকারি ও আকর্ষনীয় ফিটনেস তৈরি করতে বর্তমানে তরুন তরুনীরা
ছুটছেন জিমাগারে। এখানে রয়েছে ব্যায়ামের নানা যন্ত্রপাতি। ব্যায়াম করার
জন্য জিমের যন্ত্রপাতি যত্রতত্র ব্যবহার করলে চলবে না। এসবের সঠিক ব্যবহার ও
পাশাপাশি কিছু নিয়ম কানুন মেনে জিম করতে হবে। তবেই কেবলমাএ এ থেকে সুফল
আসবে। তাই মেনে চলুন জিম করার নিয়ম কানুন-
১) জিমে ভর্তি হওয়ার আগে খোঁজ খবর নিয়ে ভেবে নিন কোন জিম সেন্টারে আপনি
ভর্তি হতে পারবেন। আপনার বাসার কাছাকাছি কোন ভালো জিম সেন্টার থাকলে
সেখানেই ভর্তি হতে পারেন এতে আপনার টাইম ম্যানেজমেন্টে ও যাতায়াতে সুবিধা
হবে।
২) প্রথমেই জিমের ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি কি ধরনের
ফিটনেস তৈরি করতে চান তা ট্রেনারের সাথে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করে নিন। জিম
করার জন্য কতটা সময় আপনি বরাদ্দ রেখেছেন, কোন সময়টা আপনার জন্য উপযোগী,
কোন শারীরিক অসুস্থতা আছে কিনা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে ফিটনেস এক্সপার্টের
সঙ্গে কথা বলে আপনার ফিটনেস পরিকল্পনা তৈরি করুন।
৩) জিমে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ ফিটনেস এক্সপার্টের
উপস্থিতিতে ফিটনেস ইকুইপমেন্ট গুলো ব্যবহার করুন। কোন ফিটনেস ইকুইপমেন্ট
ব্যবহার করতে অসুবিধা হলে সেই ইকুইপমেন্টটি ব্যবহারের নিয়মকানুন সম্পর্কে
ভালো করে জেনে নিন। প্রয়োজনে ফিটনেস এক্সপার্টের সাহায্য নিন।
৪) জিম করার সময় অবশ্যই জিমের উপযোগী পোশাক এবং ফিটনেস জুতা ব্যবহার
করবেন। এছাড়াও অন্যান্য সুবিধার জন্য একটি ফিটনেস ব্যাগ সবসময় নিজের কাছে
রাখতে পারেন। আর এতে তোয়ালে, পানির বোতল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো
রাখতে পারেন।
৫) জিম করার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন ঘন্টা খানেক সময় জিম করুন এবং তা
আস্তে আস্তে বাড়ান। প্রথম দিকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা করে ব্যায়াম করলে শরীরের
উপর চাপ পড়তে পারে।
৬) প্রথম মাসে জিম করার জন্য আধ ঘন্টা বরাদ্ধ রাখলে হাতে মোট ১ ঘন্টা
সময় রাখুন। জিমের সময় সকাল বা বিকালে নিধারন করুন। সকালে বা বিকালে জিম
করার জন্য প্রস্তুতি নিতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। মনোযোগ দিয়ে জিমের
যন্ত্রপাতির ব্যবহার শেখার চেষ্টা করুন। জিম শেষ করার পর অন্তত ১৫ মিনিট
রিল্যাক্স করুন।
৭) প্রাথমিক পর্যায়ে জিম থেকে ফিরেই কাজে বেরনোর জন্য তাড়াহুড়ো করবেন
না। নিজের শরীরের জন্য উপযোগী পরিমান খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে অফিস
কিংবা অন্য কোন কাজে বের হবেন। ঘরে এবং বাইরে অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলে
সপ্তাহে ৩ দিন জিম করতে যেতে পারেন। বাকি দিন গুলো বাসাতেই ফ্রি হ্যান্ড
এক্সারসাইজ করতে পারেন।
৮) জিমে ভর্তি হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সময় ব্যয় করতেও অসুবিধা
হতে পারে। কিন্তু জিমে ভর্তি হয়ে কখনোই হঠাৎ করে জিমে যাওয়া বন্ধ করবেন না।
কয়েকমাস জিম করার পর অভ্যাস হয়ে গেলে ফিটনেসের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময়
ব্যয় করতে কোন অসুবিধা হবে না।
৯) নিজের উপর পজিটিভ মনোভার রাখুন এবং ধৈর্য্য নিয়ে জিম করুন। কত
তাড়াতাড়ি ফিটনেস গোল অর্জন করতে পারবেন তা নিয়ে কখনোই টেনশন করবেন না।
জিমের সময়টুকু উপভোগ করার চেষ্টা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন