বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১২

যাদের ওজন কম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস


যাদের বয়স অনুযায়ী শরীর এর ওজন অনেক কম তাদের চিন্তার শেষ থাকে না।অনেক এ হইতো লজ্জায় কার সাথে মিশতে পারে না। বয়স হিসাবে ওজন কম থাকায় অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে অনেক ঔষধ খেয়েছেন,তবুও ফল পাচ্ছেন না।একটা ডাক্তার এর ঔষধ সেবন করে কাজ না করলে নতুন ডাক্তার এর ঔষধ সেবন করেছেন।তবুও ভাল ফল পাননি।তারা এই টিপস টি দেখতে পারেন আশা করি ভাল ফল পাবেন।


আর অনেক এ আছে প্রচুর পরিমান এ খাওয়া দাওয়া করেন কিন্তু যেই রোগা সেই রোগাই থেকে যান।অনেক খাওয়ার পর ও ওজন বাড়াতে পারেন না।এদের বলা হয় হার্ডগেইনার (হজমশক্তি) মেটাবলিজম খুব হাই থাকায় খাওয়ার সাথে সাথে ক্যালরি বার্ণ হয়ে যায়।আর যাদের মেটাবলিজম খুব লো তারা খেলেই মোটা হয়ে যান।বাংলাদেশে মেটাবলিজম লো এমন মানুষ ই বেশি।

অনেক এ আছে জিম এ ব্যায়াম করার পর ও ওজন কিছুতেই বাড়াতে পারেন না।তাদের মাসেল বাড়ে কিন্তু ফ্যাট বাড়ে না।

এখন কি চিন্তাই আছেন যে মেটাবলিজম কি ভাল করা যাবে না? বা কি ঔষধ খেলে মেটাবলিজম বা (হজমশক্তি) ভাল হবে?

মেটাবলিজম  ভাল করতে কোন ডাক্তার বা ঔষধ এর প্রয়োজন হবে না।নিজের চেষ্টায় আপনি নিজেই ভাল করতে পারবেন। তবে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে মেটাবলিজম (হজমশক্তি) ভাল করবেন।

একজন মানুষ এর প্রতিদিন ২হাজার ২৮০ কিলো ক্যালরি বা সর্বনিম্ন ১৮০০ক্যলরি দরকার। আবার অনেক এ হয়তো ভাবছেন ক্যালরি কি?
ক্যালরি হচ্ছে আমাদের শরীর এর শক্তির একক, যা দিয়ে কোন খাবার হতে আমাদের শরীরে কত শক্তি পাওয়া যায় তা পরিমাপ করা হয়।খাদ্য থেকে তৈরী তাপশক্তি পরিমাপ করে খাবার এর ক্যালরি মান নির্ণন করা হয়।খাবার এর ক্যালরি শরীরে জ্বালানি শক্তির মত কাজ করে এবং তা থেকে আমরা সারাদিন কাজ করার শক্তি পাই।

আমরা যদি কোন কাজ নাও করি তবুও প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭০ক্যালরি বার্ণ হয়।তাইলে একবার ভাবুন কাজ করা অবস্থায় আমাদের শরীর থেকে কতটুকু ক্যালরি বার্ণ হচ্ছে।যারা হার্ডগেইনারদের মধ্যে তারা ৩ বেলা খাবার খাওয়ার সাথে সাথে সেই ক্যালরি বার্ণ হতে থাকে।তারপর আবার প্রতিঘন্টায় কিছু না কিছু ক্যালরি বার্ণ হতেই থাকে।যেমন আপনি ভাত খান কিন্তু খুব কম তাই মনে করি ৩ বেলা খেয়ে আপনার শরীর ১২০০/১৫০০ ক্যালরি গ্রহন করলো।তাইলে নিজেই হিসাব করুন প্রতিদিন আপনি গ্রহন করলেন ১৫০০ক্যালরি আর প্রতিঘন্টায় কোন কাজ না করলেও ক্যালরি বার্ণ হয় ৫৫থেকে ৭৫ ক্যালরি তাইলে আপনার শরীর এ আর কত ক্যালরি থাকে বেশি হলে ৩০০/৪০০ক্যালরি। আর প্রতিদিন একজন মানুষ এর দরকার ১৮০০থেকে ২২০০ক্যালরি।এবার হইতো বুঝতে পেরেছেন যে কেন বয়স এর অনুযায়ী ওজন বাড়ে না।
তাই ওজন বাড়াতে হলে তাদের প্রথম কাজ হলো ক্যালরি ধরে রাখা।

কিভাবে ক্যালরি ধরে রাখবেন?

নির্দিষ্ট ক্যালরি ধরে রাখার পর যেই ক্যালরি টুকু জমা হয় সেই টুকুই ফ্যাট হওয়ার কাজে সাহায্যে করে।আর প্রতি ঘন্টায় ৫৫/৭৫ ক্যালরি বাড়তি খাওয়া সম্ভব না যেই ক্যালরি টুকু বার্ণ হয়।তাই আপনি যদি ৩ বেলার খাবার খাওয়ার জাইগায় আর ৩বেলা যুক্ত করেন তবে আপনি অধিক পরিমাপান ক্যালরি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং বাকি ক্যালরি টুকু আপনাকে ফ্যাট হতে সাহয্যে করবে।একবার খাবার খেয়ে ৩০০/৪০০ক্যালরি গ্রহন করার পর ২.৫/৩ঘন্টা সময় লাগে হজম হতে তারপর আপনার শরীর আবার নতুন ক্যালরি গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত হবে। তাই ৩ঘন্টা পর পর খাওয়া ভাল

আর সব সময় চেষ্টা করবেন ৪০০- এর জাইগায় ৪০০+ক্যালরি গ্রহন করতে।তাহলে আপনার একটা বাড়তি অংশের ক্যালরি থাকবে শরীর এ যেটা আপনাকে ফ্যাট হতে সাহায্যে করবে।

 এখন অনেক এর মনে প্রশ্ন উঠবে বুঝবো কি করে যে কোন খাবার এ কতোটুকু ক্যালরি?এটা সামনের পোস্ট এ আলোচনা করবো।তাইলে কার বুঝতে অসুবিধা হবে না আসা করছি।

হজমশক্তি ভাল করতে হলে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু খাওয়া উচিত।এতে ক্যালরি বার্ণ হলেও আবার ফিরে পেতে সাহায্যে করে এবং শরীর ফ্যাট করতে ও অনেক কার্যকরী।
তাহলে আশা করি বুঝে গেছেন বয়স এর সাথে ওজন না বাড়ার কারনগুলো।
যারা একদম খেতে পারে না তারা যত পারবেন বেশি করে খাবেন কারন বেশি করে খেলে আপনার ভাল ছাড়া ক্ষতি হবে না।
অনেক এ ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খান এটা কখনোই ঠিক না।এতে অনেক সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে যা হইতো আপনি নিজে বুঝতে পারবেন না।

ঔষধ সেবন করলে আপনি কি পাবেন?

ঔষধ খেয়ে আপনি হয়তো সাময়িক সময় এর জন্য মোটা হবেন।একে মোটা বলা যায় না আপনি শরীর ফুলে উঠবে।কিন্তু আপনি যখন ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিবেন তখন আবার আগের মতই কাবু্ হয়ে যাবেন। এতে করে অনেক এর কাছেই হাসির পাত্র হয়ে যাবেন।নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
আমি কাবু থাকার জন্য ঔষধ খেয়েছিলাম হঠাৎ করেই মোটা হয়ে গেছিলাম আবার ঔষধ খাওয়া অফ করে দিলে আবার আগের মত।

আমি এই পদ্ধতি অনুসরন করি। এবং আমি ভাল ফল পেয়েছি আপনি ও ভাল ফল পাবেন আশা করছি।
আমি অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখাইছি সবার কথাই এক যে ন্যাচারাল খাবার খেয়ে শরীর বানাও।
এবং এখন এটাও আমার কথা। ন্যাচারাল খাবার খেয়েই শরীর বানালে এতে শরীর সুস্থ থাকে।এবং শরীর কমার কোন ভয় নেই।
আমি আপনাদের কে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং জিম ট্রেইনারদের পরামর্শ দিব, কিভাবে ন্যাচারাল খবার খেয়ে মোটা হওয়া যায় এবং শরীর ফিট রাখা যায়।
শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।
এইভাবে প্রতিদিন খাবার খেয়ে ব্যায়াম করলে ১ মাস এর মধ্যে ভাল ফল পাওয়া যাবে।



এইভাবে প্রতিদিন খাবার খেয়ে ব্যাোম করলে ১মাস এর মধ্যে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

১৬টি মন্তব্য:

  1. ki khabar khele beshi kalari paowa jabe...........

    উত্তরমুছুন
  2. এটা নিয়ে আগামী পোস্ট এ আলোচনা করা হবে কোন কোন খাবার এ কেমন ক্যালরি আছে

    উত্তরমুছুন
  3. nice information. Hope it will help thin people like me...
    Thanks sumon. i bookmarked your blog anf hope will visit once in every week. So keep posting more ...

    উত্তরমুছুন
  4. ভাই দয়া করে ক্যালরির লিস্টা পোস্ট করেন প্লিজ

    উত্তরমুছুন
  5. সুমন ভাই সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ন আলোচনা...ধন্যবাদ..

    উত্তরমুছুন
  6. আগামি পোস্ট কবে দিবেন??

    উত্তরমুছুন
  7. আমার বয়স 16 ওজন 46 কেজি উচচতা 5:8 এখন আমি কি জিম করতে পারবো..।

    উত্তরমুছুন
  8. meyeder jonnu gym e giye weight gain kora eyta ki useful? 😐

    উত্তরমুছুন
  9. আমার গালের মাংস নরম।এখন জিম করলে কি শক্ত হবে?

    উত্তরমুছুন
  10. অসংখ্য ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়ার জন্যে

    উত্তরমুছুন
  11. ভাল লিখেছেন। এটা জানা দরকার ছিল। আমি যদিও আগে শুকনা ছিলাম যে কারনে নানা কথা শুনতে হয়েছে কিন্তু এখন ফিট আছি আলহামদুল্লিলাহ। ধন্যবাদ আপনাকে

    উত্তরমুছুন